দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পর থেকে বাজারে পোলট্রি খাতে চলছে অস্থিরতা। এখন পর্যন্ত যথাযথ দাম নেমে আসেনি ডিম ও মুরগীর বাজারে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন মহল থেকে চেষ্টা করা হলেও সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।
সরকারি তদারকি না থাকায় লুট চলছে দেশের পোলট্রি খাতে-এমন অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে উৎপাদন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ মূলত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাতে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, এই খাতের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। যার ফলে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ ১২০-১৩০ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে ‘বিগ ফোর’ হিসেবে পরিচিত চার প্রতিষ্ঠানকে বৃহস্পতিবার তলব করে বাজারে পোলট্রির (ব্রয়লার মুরগি) অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৈঠকে যৌক্তিক দামের চেয়ে বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করলে এবং তা অব্যাহত থাকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সীমান্ত খুলে দিয়ে মুরগি আমদানির সুপারিশ করার কথা জানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এদিকে গত বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড রুমে মতবিনিময় সভায় মুরগি ব্যবসায়ীদের ডাকলেও তারা কেউ আসেননি মিটিংয়ে। পরে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারের কাছে আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে বলবো। আগামী দু-তিন মাস আমদানি করা হোক। এছাড়া আর আমরা কোনো পথ দেখছি না।
Leave a Reply