অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:- হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে উঠতি বয়সী কিশোর ছাত্রদের যৌন হয়রানি এবং সমকামীতায় উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে শেখ শিহাব উদ্দিন(৩০)নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের তকবাজখানী মহল্লার শেখ শমসের উদ্দিনের পুত্র এই শিক্ষক শিহাব।
তার এহেন কর্মকান্ডের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যেখানে রয়েছে কিশোর ছাত্রদের সাথে এই শিক্ষক নামের ভন্ডার ভণ্ডামি করার ভিডিও চিত্র।
এছাড়াও ছাত্রদের সাথে তার ফেইসবুক মেসেঞ্জার থেকে বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীর ভাষাতে শত,শত চ্যাট করার আলাপন বার্তা।
এসব পর্যালোচনা করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়।
শিক্ষক শিহাবের চ্যাট ও কিশোরদের সাথে সরাসরি সমকামীতায় উদ্বুদ্ধ করার ভিডিওতে এমনটা লক্ষ করা গেছে।
যাহা গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসব সংরক্ষিত রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের তথ্য সূত্রে শিহাব সম্পর্কে অনুসন্ধানে,জানা যায় বানিয়াচং সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নে অবস্থিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম(এড়ালিয়া মাঠ)’র পশ্চিমে মদিনা টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
এছাড়াও এই শিক্ষক শিহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন বলেও জানাযায়।
এমনকি তিনিও নিজেও এমনটা প্রচার করে চলছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এছাড়াও রয়েছে তার বহু পরিচয়,কোন সময় নিজেকে সংগীত গুরু আবার কোন সময় নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত দাবীও করেন তিনি।
এমনকি শেখ শামছুল হক কলেজের ল্যাকচারার বলেও পরিচয় দিয়ে আসছেন কোথাও।
তবে অনুসন্ধানে উঠে আসে তার সত্য ও শিক্ষক শিহাবের আসল চরিত্র।
শিক্ষক শিহাব উল্লেখিত স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরে সহযোগীতা করে আসছেন।
এর বাহিরে বানিয়াচং উপজেলার ভিতরে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ছাত্রদেরকে টিউশনি করিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আর তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার মনোবাসনা পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে কিশোর ছাত্রদের যৌন হয়রানি এবং তাদের আপত্তিকর স্থানে হাত দিয়ে সমকামীতায় উদ্বুদ্ধ করে আসছেন।যেসব ছাত্ররা তার প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করে,এসব ছাত্রকে পরিবারের লোকজনের কাছে উল্টা,পাল্টা বলে মারপিটসহ তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি প্রদান করে।
এমনকি তাদেরকে ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে শিক্ষক নামীয় ভন্ড শিহাব।
এমনটাই ছাত্ররা তাদের অভিযোগেও উল্লেখ করেন।
শুধু ছাত্ররাই এমনটাই করে থেমে থাকেননি শিহাব,তিনি বিভিন্ন এলাকার কিশোরদের সাথেও পরিচয় গড়ে তুলেন।
এবং তাদের সাথে অশ্লীল ভাষার শব্দ প্রয়োগ করে নিজের ফেইসবুক মেসেঞ্জার থেকে যৌন হয়রানি মূলক সমকামীতায় উদ্বুদ্ধকরণ মেসেজের মাধ্যমে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
এই শিক্ষক শিহাবের বিরুদ্ধে ছাত্রদের পাশাপাশি কিশোরদেরকেও এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলো শিক্ষক শিহাব।
এই শিক্ষক শেখ শিহাব বাঁধন নামে নিজস্ব ছবি ব্যবহার করে একটি ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছেন।
তিনি তার এই আইডি থেকে ঐ ছাত্রদের পাশাপাশি পরিচিত কিশোরদের সাথে এমন অশ্লীল মেসেজ প্রদান করে যাচ্ছিলেন।
এছাড়াও তার ব্যবহৃত আইডির মধ্যে উল্লেখ রয়েছে তার একাধিক পরিচয়।
যাহা অনেকেই ভূয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং ভূয়া বলে প্রমানও পাওয়া গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এমন ভুক্তভোগী কিশোর ও ছাত্ররা তাদের পৃথক পৃথক ভিডিও সহকারে বক্তব্যে প্রদান করেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
এমনকি তারা এই ভন্ড শিক্ষকের অপকর্মের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে বলেন,ওই শিক্ষক আমাদেরকে হুমকি প্রদান করে সমকামিতায় উদ্বুদ্ধ করতে চান এবং তার সাথে এমনটা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করে আসছিলেন।
তারা আরও বলেন, ওই শিক্ষক শত,শত কোমলমতি শিশু কিশোর ও ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলেও এমনটা অভিযোগে করেন তারা।
তাই ভবিষ্যতে যেন এমন শিক্ষক নামের নরপশু ভন্ডাদের দ্ধারাতে কোন ছাত্র ছাত্রী ও কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যত নষ্ট না হয় এবং অন্ধকারে না যায়,এজন্য তারা ওই ভন্ড মুখোশধারী শিক্ষক শিহাবকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদানের জোরদাবী জানিয়েছেন।
তারা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এব্যাপারে শিক্ষক শিহাব উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
বিষয়টি একটি ধূম্রজাল।
এবিষয়ে তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে নারাজ প্রকাশ করেন।
এবং তিনি সরাসরি কথা বলার অফার দিয়ে ফোনটি কেটে দেন।
আকিকুর রহমান রুমন
২৬জুলাই(বুধবার) ২০২৩ইং।
বানিয়াচং হবিগঞ্জ।
Leave a Reply