এগিয়ে যাওয়ার লড়াই এ অনেকের অসহযোগিতাই আমার শক্তিঃসাবরিনা সাবা

এগিয়ে যাওয়ার লড়াই এ অনেকের অসহযোগিতাই আমার শক্তিঃসাবরিনা সাবা

বিনোদন ডেক্সঃএই প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মিষ্টি কন্ঠের গায়িকা সাবরিনা সাবা।স্কুলে পড়াকালীন ২০১০ সালে ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ প্রতিযোগিতায় তিনি সেরাদের একজন।তবে ২০১২ সালে প্রথম একক অ্যালবামের নিয়ে শ্রোতাদের সামনে আসেন।ওই অ্যালবামের বেশ কয়টি হিট হয়।এই পর্যন্ত দেড় শতাধিক মৌলিক গানে কন্ঠে দিয়ে জয় করেছেন শ্রোতাদের মন।প্রিয় শিল্পীর বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন জেপি টিভির সাথে।

জেপি টিভিঃলকডাউনে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন?

সাবাঃআমি যেহেতু এখনো স্টুডেন্ট পড়াশোনা নিয়ে বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছি পাশাপাশি আমার ভিতরের কিছু ক্রিয়েটিভিটি আছে যেগুলোকে আবার আয়ত্বে আনার চেষ্টা করছি।

জেপি টিভিঃলকডাউনের আগে কাজের ব্যাস্ততা কেমন ছিলো?

সাবাঃ লকডাউনের আগে প্রচুর কাজের ব্যস্ততা ছিলো।বেশ কিছু নতুন কাজ করা হয়েছে।এখন তো আবার সব বন্ধ জানি না কবে আবার সব কিছু স্বাভাবিক হবে।

জেপি টিভিঃলকডাউনের জন্য শিল্পীরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত?

সাবাঃকে কেমন ক্ষতিগ্রস্ত সেটা আমি জানি না তবে একটা কথা বলতে চাই একজন শিল্পীর সবচেয়ে ভালো লাগা হচ্ছে শ্রোতাদের সামনে গিয়ে গান করা,যেটা একমাত্র স্টেজ শোর মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু করোনার কারণে গত দুইবছর স্টেজ শো একদমই বন্ধ, আমাকে যদি বলা হয় করোনার কারণে শিল্পীরা কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত তাহলে আমি বলবো আমি স্টেজ শো কে অনেক অনেক বেশি মিস করছি।বাকিদের কথা আমি আসলে জানি না।

জেপি টিভিঃ আপনি একদম ছোট বেলা থেকে গানের সাথে আছেন,শুরুর গল্পটা শুনতে চাই?

সাবাঃআমার শুরুটা হয়েছে চার বছর বয়স থেকে। সে সময় আমি আমার বাসার পাশে একটা স্কুলে ভর্তি হই।ওখানে সাদি মোহাম্মদ স্যার ছিলেন উনার কাছে প্রথম শিখি,এরপর শিশু একাডেমিতে শিখেছি, শিশু একাডেমিতে শিখার সময় আমার বাসায় একজন শিক্ষক ছিলেন সুজন স্যার উনার কাছেও শিখেছি।এরপর শিশু একাডেমিতে কোর্চ শেষ করার পর আমি ভর্তি হই ছাড়ানটে, গান শিখেছি। এবং পরবর্তীতে শ্রদেয় ফেরদৌস আরা ম্যামের কাছে শিখেছি।আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে অনেক পুরস্কার পেয়েছি।

জেপি টিভিঃসাবরিনা সাবার বর্তমান অবস্থান থেকে কি আরো ভালো অবস্থায় থাকা উচিত ছিলো বলে মনে করেন?

সাবাঃ প্রতিটি মানুষই মনে করে যে অবস্থানে আছি তার থেকে আরো ভালো অবস্থানে থাকা উচিত ছিলো। আমিও মনে করি আমি আরো ভালো অবস্থায় থাকা উচিত ছিলো। আমার কাছে আমার শ্রোতা দর্শক, আমার বন্ধু বান্ধবরা আরো বেশি কিছু আশা করে।তবে আমি বিশ্বাস করি আস্তে আস্তে এগিয়ে যাওয়া ভালো, খুব তাড়াতাড়ি কিছু আমার পছন্দ না।

জেপি টিভিঃ আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই?

সাবাঃআমার পরিবারে আমি আমার বোন আর বাবা,মা।

জেপি টিভিঃপরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পান?

সাবাঃ সত্যি বলতে শুরুর দিকে পরিবারের সাপোর্ট ছিলো বাট শিল্পী হওয়ার পরে দুঃখজনক ভাবে পরিবার থেকে যে ভাবে সাপোর্ট পাওয়ার কথা সেভাবে একদমই সাপোর্ট পাচ্ছি না।তবে হ্যাঁ এটা আমার জীবনের জন্য একটা শিক্ষা। পরিবার থেকে সাপোর্ট না পাওয়ার কষ্টটা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে শক্তি দিচ্ছে।

জেপি টিভিঃ আপনার মৌলিক গান গুলো অনেক জনপ্রিয় তারপরও কেন মৌলিক গানের সংখ্যা এতো কম কেন?

সাবাঃ হ্যাঁ আমার মৌলিক গান অনেক জনপ্রিয়। আট বছরে দেড় শতাধিক মৌলিক গান করেছি।কম হওয়ার পিছনে বড় কারণ হচ্ছে আমি খুব বেচে বেচে কাজ করি।তবে অনেক ভালো গান করতে চাই ভবিষ্যতে।

জেপি টিভিঃ গানকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কার অনুপ্রেরণায়?

সাবাঃ আসলে কে অনুপ্রেরণা দিয়েছে সেটা আমি জানি না।স্বাধীন জীবন যাপন করার জন্য নিজের পড়াশোনার খরচ যেন পরিবার থেকে নিতে না হয় সেই ইচ্ছে থেকেই গানকে পেশা হিসেবে নিয়েছি।তবে হ্যাঁ এই পেশার পাশাপাশি আমি অন্য পেশায়ও যেতে চাই।

জেপি টিভিঃ গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

সাবাঃআরো ভালো ভালো সুরের গান করতে চাই।আমি যেহেতু গীতিকার তাই ভালো কিছু গান লিখতে চাই।আর একটা স্বপ্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশেকে প্রতিনিধিত্ব করবো আমার সামনে বিলিয়ন শ্রোতা থাকবে,এটা আমার অনেক বড় একটা স্বপ্ন।

জেপি টিভিঃ কিছুদিন পরে ঈদ,ঈদে কি আপনার শ্রোতারা নতুন কিছু পাচ্ছে?

সাবাঃঈদের জন্য আমার দুইটা গান রিলিজ হচ্ছে,এবং একটি মজার বিষয় হচ্ছে দুটি গানের মধ্যে একটা গান আমার সুর করা, তাই অপেক্ষায় আছি।

জেপি টিভিঃ আপনি পড়াশোনায় অনেক ভালো, বর্তমানে পড়াশোনার কি অবস্থা?

সাবাঃপড়াশোনাতে কতোটা ভালো জানি না,তবে গানকে পেশা হিসেবে না নিলে আরো ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে পারতাম।পড়াশোনা এবং গানকে পেশা হিসেবে নেওয়াতে আসলে দুইটাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।অনেক প্রোগ্রাম আ পরিক্ষা একই দিনে থাকে তখন আসলে সমস্যায় পড়ে যাই।বর্তমানে পড়াশোনা অবস্থা এই বছর আমার অর্নাস শেষ হবে,আমি ইংরেজি ভাষার উপরে পড়ছি।করোনার কারণে এখন পড়াশোনা বেশি মনোযোগ দিতে পারছি, অনলাইনে ক্লাস করছি।আমার স্কুল ছিলো ভিকারুননিসা নূন স্কুল আর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে অর্নাস করছি।

জেপি টিভিঃ গান ছাড়া আর অন্য কোন পেশায় কাজ করতে ইচ্ছে আছে?

সাবাঃঅর্নাস শেষ করে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য চেষ্টা করবো। যেহেতু আমার মধ্যে ক্রিয়েভিটি আছে তাই বিজনেস করতে চাই এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করতে চাই যেমন হিউম্যান রাউটস,শিশুদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে চাই।

জেপি টিভিঃআপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য।

সাবাঃ আপনাদেরকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে সুন্দর সুন্দর কিছু প্রশ্ন করার জন্য। আমার জানা মতে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে যারা আমার সম্পর্কে জানতে চায় তারা আশাকরি আজকে খুশি হবে আমার সম্পর্কে জানতে পেরে। আর আমার শ্রোতাদের কে অনুরোধ করবেন বাংলা গান বেশি বেশি করে শুনবেন।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন


Leave a Reply

Your email address will not be published.