জালে ধরা পড়ল ১৮০ মণ ইলিশ, বিক্রি প্রায় ৩ কোটি

জালে ধরা পড়ল ১৮০ মণ ইলিশ, বিক্রি প্রায় ৩ কোটি

সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমানে মাছ ধরা পড়ার পটুয়াখালীর জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেক ট্রলার ২০ থেকে ১২০ মণ ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরেছে।

বুধবার ( ১৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে আড়ৎদার, জেলে, ট্রলারের মালিক ও শ্রমজীবীদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। অনেকে ট্রাক, পিকআপ ও গাড়িতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ প্যাকেট করে পাঠাচ্ছে। কলাপাড়া সিনিয়র ফিসারি অফিসার অপু সাহা জানান, বুধবার এফবি জুবায়ের ও এফবি ইসলাম নামের দুটি মাছ ধরা ট্রলারে ৭০ মণ ইলিশ মাছ পেয়েছে। বিক্রি করেছেন ২৫ লাখ টাকা। এফবি বিলকিস-১ ট্রলারের মাঝি মো. হাসেম ৬০ মণ ইলিশ পেয়েছেন বিক্রি করেছেন ২০ লাখ টাকা। এফবি বিলকিস-২ ট্রলারের মাঝি জব্বার হোসেন ৭০ মণ ইলিশ ২২ লাখ টাকায়, এফবি রাকিবুল হাসান ট্রলারের মাঝি আ. সত্তার ২০ মণ ইলিশ ১৭ লাখ, এফবি মদিনা-১ ট্রলারের মাঝি কামাল হোসেন ৪০ মণ ইলিশ ১৫ লাখ, এফবি মরিয়ম ট্রলারের খালেক খান ৬০ মণ ইলিশ ২০ লাখ, এফবি রিফাত ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন ১২০ মণ ইলিশ ৪০ লাখ, এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি মুহম্মদ কবীর ১১০ মণ ইলিশ ৩৫ লাখ টাকায়, এফবি হোসেন-২ ট্রলারের মাঝি দুলাল ৫০ মণ ইলিশ ১৫ লাখ, এফবি এলমা আক্তার-৪ ট্রলারের মাঝি আলমগীর ৩০ মণ ইলিশ ৯ লাখ, এফবি মা আমেনা ট্রলারের মাঝি সাদ্দাম ৪০ মণ ইলিশ ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার ১১ ট্রলারের জেলেরা উল্লেখযোগ্য ৭০০ মণ ইলিশ পেয়েছেন। যার মূল্য দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা। মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমিতির নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ফজলু গাজী জানান, সাগরের অনেক গভীরে যাওয়া লাল জাল নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারগুলো কমবেশি ইলিশ পাচ্ছে। শতকরা ১৫ থেকে ২০ ট্রলারে কমবেশি ইলিশ পাচ্ছে। বাকিরা সামান্য পরিমাণ ইলিশ পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পেছনের লোকসান কাটিয়ে ভালো ব্যবসা করা যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Leave a Reply

Your email address will not be published.