ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কর্মজীবী এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়। গত বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত-৪ এ ভুক্তভোগী নারী নিজেই মামলাটি দায়ের করেন।
ওই নারী কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তে করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক তাবাসুম ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২১ জুলাই ওই নারীকে কেরানীগঞ্জ থেকে অপহরণ করে রাজধানীর বিজয় নগর স্কাইভিউ টাওয়ারের সাত তলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার আগে গত ৩০ জুন কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের সোর্স রাহাতের সহযোগিতায় বিউটি পার্লার থেকে মীরেরবাগ বাসায় ফেরার পথে রাতে ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রাখে শুভঢ্যা ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, তুহিন রেজা, পুলিশের সোর্স রাহাত ও তেলঘাটের জিএম সারোয়ার। এরপর তারা তাকে ধর্ষণও করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরো বলা হয়, পরে ‘ধর্ষকদের’ হাত থেকে মুক্তি পেয়ে গত ৫ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আসামি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও জিএম সারোয়ার কেরানীগঞ্জে প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের পক্ষ নিয়ে ওই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে মামলা তুলে নিতে তাকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
ওই নারী আরো অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে আসামি ইকবাল হোসেন, তুহিন রেজা, পুলিশের সোর্স রাহাত, জিএম সারোয়ার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র), শাহদাত হোসেন, ওসি আশিকুর রহমান (তদন্ত), এবং ওসি শাহ জামান তাকে অপহরণ করে রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় স্কাইভিউ টাওয়ারে একটি কক্ষে আটকে রেখে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এছাড়াও অনেকগুলো কাগজে সই করিয়ে নেয়। সেই সাথে সেখানেও বাদিকে দুদিন আটক রেখে দ্বিতীয় দফায় আসামিরা ধর্ষণ করেন।
Leave a Reply