বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন আজ

মোঃ জসিম উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার,খানসামা

নন্দিত লেখক, জনপ্রিয় নাট্যকার এবং চলচ্চিত্রকার, হিমু ও মিসির আলীর স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন আজ (১৩ নভেম্বর)। জীবদ্দশায় তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো তার। বাংলাদেশে তার মতো জনপ্রিয় লেখক কমই এসেছেন। সৌভাগ্যের সোনার কাঠি নিয়ে জন্ম নেওয়া একজন লেখক তিনি। লেখালেখি ছাড়া নাটক ও সিনেমা, যেখানেই নাম লিখিয়েছেন, সাফল্য তাকে ছুঁয়ে গেছে।

‘কোথাও কেউ নেই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কবি’, ‘বাদশা নামদার’ ইত্যাদি কতো কতো উপন্যাস, যা পাঠকদের মনকে ছুঁয়ে গেছে।

তাকে বলা হতো কথার জাদুকর। গল্প-উপন্যাস ছাড়াও হুমায়ূন আহমেদ নাট্যকার হিসেবেও ছিলেন প্রবল জনপ্রিয়।

১৯৪৮ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পর পরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচীনি দ্বীপ, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প প্রভৃতি।

তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমনি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবন মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও নয় নম্বর বিপদ সংকেত। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ও জয় করেছে দর্শক ও সমালোচকদের মন।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদিও স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন। দেশের বাইরেও তাকে নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রমাণ জাপান টেলিভিশন ‘এনএইচকে’ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছে পনের মিনিটের তথ্যচিত্র ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’।

হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ২০১১ সালের সেপ্টেস্বর মাসে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিত্সার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারোটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


শাহারা খান(যুক্তরাজ্য প্রবাসী)

নারী তুমি গর্ভধারিণী,

প্রসব ব্যথা সহে,

পারো জননী রূপ নিতে।

নারী তুমি ধৈর্যশীলা,

শত কষ্ট বুকে জমা রেখে,

পারো সন্তানের মুখে হাসি ফুটাতে

নারী তুমি নিরাপদ আশ্রয়,

হাজারো ঝড়,ঝাপটায় পারো,

সন্তানকে আগলে রাখতে।

নারী তুমি অর্ধাঙ্গিনী,

আপন আলয় ছেড়ে,

পারো নতুন সংসার সাজাতে।

নারী তুমি প্রেরণাদাত্রী,

পুরুষের কাজে প্রেরণা দিয়ে,

পারো সাফল্য বয়ে আনতে।

নারী তুমি প্রেমময়ী,

ভালোবাসার পরশ দিয়ে,

পারো জীবন সুখের করতে।

নারী তুমি নহ শুধু অন্ত:পুরবাসিনী,

পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে,

পারো তুমি বিশ্ব জয় করতে।

সন্তানের জান্নাত রয়েছে,

নারী তোমারই পদতলে।

তোমারই জন্যে সাজিল ধরনী

ফুলে আর ফলে।

নারী

Leave a Reply

Your email address will not be published.