নির্মাতা অনন্য মামুন শেষবারের মতো ঠিক করে নিচ্ছেন বেডরুমের ফুলদানি। মুঠোফোনের এপাশ থেকে শোনা গেল, তিনি একজন শিল্পনির্দেশককে বলছেন, ‘ওই ফুলদানিটা সামনের দিকে একটু সরিয়ে দিন, লাইট একটু কমবে, শটে যাব, রেডি সবাই?’ ‘লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন’ বলার আগেই একটু সময় চেয়ে নিয়ে তিনি বললেন, ‘ভাই শটটি শেষ করেই ফোন দিচ্ছি।’ লাইন কেটে গেল। উত্তরার একটি শুটিংবাড়িতে ‘নবাব এলএলবি’ ছবির দৃশ্য ধারণকালে আলাপ নির্মাতার সঙ্গে। ক্যামেরার সামনে তখন নায়িকা স্পর্শিয়া।লকডাউনে ঘরবন্দী ছিলেন তারকারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ের সুযোগ আসতেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন। যেন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে মুখিয়ে ছিলেন তারকারা। দীর্ঘদিন পরে কাজে ফেরার তালিকাটাও বেশ লম্বা। কে নেই সেখানে? পরীমনি, সিয়াম, মাহিয়া মাহি, দীঘি। নবীন কিংবা জ্যেষ্ঠ—সবার চোখ এখন শুটিংয়ের দিকে। তবে গত কয়েক দিনে ঢালিউডের ডাকসাইটে তারকাদের শুটিংয়ে নামার খবর ছিল ‘টক অব দ্য টাউন’।এই ধরুন, ঢালিউডের কিং খানকে দেখা গেল বাদামি রঙের চুলে। আকাশি টি–শার্ট আর নীল জিনস পরে নবাবের মতোই ক্যামেরার সামনে এলেন বাইকে চড়ে। দীর্ঘ ৫ মাস পর গত ১০ সেপ্টেম্বর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন এই নায়ক। সকাল সাড়ে ৭টায় উপস্থিত শুটিং সেটে। পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, ‘শুটিংয়ের আগে শাকিব ভাইয়ের বাসায় ১৫ দিনের বেশি মহড়া করেছি। ছবির পাণ্ডুলিপি পড়েছি। তাই সেটে এসে আমাদের কাছে নতুন কোনো কিছু মনে হয়নি। শুধু করোনার কারণে কাজ কিছুটা ধীরগতিতে হয়েছে। সবাইকে সচেতন থাকতে হয়েছে।’
অনেকদিন ধরেই করোনা নিয়ে ভয়ের মধ্য আছেন অভিনেতা ফেরদৌস। তবে আর নয়। চলতি মাস থেকেই শুরু হবে ‘গাঙচিল’ ছবির বাকি ১৫ দিনের শুটিং। তাঁর সঙ্গে অংশ নেবেন নায়িকা পূর্ণিমাও। ফেরদৌস বলেন, ‘আর কত দিন এভাবে বসে থাকব। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করব। নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে, আমাদের টিম একদম ছোট থাকবে। মেকআপ রুমে একজনের বেশি থাকবেন না। সবাইকে করোনা টেস্ট করিয়ে কাজে নেওয়ার কথা বলেছি। এখন থেকে নিরাপত্তা নিয়েই নিয়মিত কাজ করতে চাই।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস ‘গাঙচিল’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করছেন নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামুল।
Leave a Reply